শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০২:৪৭ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
বরগুনায় তরমুজ ক্ষেতে পানি, দিশেহারা চাষি

বরগুনায় তরমুজ ক্ষেতে পানি, দিশেহারা চাষি

স্বদেশ ডেস্ক:

ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে বৃষ্টিতে বরগুনার নিচু এলাকার মাঠ-ঘাট তলিয়ে গেছে। টানা বৃষ্টিতে তরমুজ ক্ষেতে হাঁটু পানি জমে নষ্ট হচ্ছে হাজার হাজার মৌসুমি ফল তরমুজ। যার ফলে চাষিরা লোকসানের আশঙ্কায় রয়েছেন।

জানা গেছে, ইতোমধ্যেই জেলার অধিকাংশ ক্ষেতের তরমুজই বিক্রি করা হয়ে গেছে। তবে সদর উপজেলার সদর ইউনিয়নের নীমতলী বালিয়াতলী ইউনিয়নের খাকবুনিয়া, আমতলী, চৌমুহনীসহ বেশ কিছু এলাকার তরমুজ এখন পর্যন্ত ক্ষেতেই রয়ে গেছে।

সরেজমিনে বুধবার বরগুনা সদর উপজেলার নীমতলী ও বালিয়াতলী ইউনিয়নের খাকবুনিয়া এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, তরমুজ ক্ষেত পানিতে থৈ থৈ করছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় তরমুজ ক্ষেতে হাঁটু পানি জমা হয়েছে। কৃষকরা ক্ষেত থেকে তরমুজ তুলে রাস্তার ওপরে স্তূপ করে রেখেছেন। কেউ আবার পানিতে ডুবে থাকা তরমুজ কেটে নৌকায় তুলছেন। বৃষ্টির পানিতে ডুবে যাওয়ার কারণে এ তরমুজ বিক্রি না হওয়ায় আশঙ্কা করছেন। এতে লাখ লাখ টাকা ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয় চাষিরা।

নলী এলাকার চাষি বারেক বলেন, দুই লাখ ২৮ হাজার টাকা ব্যয়ে তরমুজ চাষ করেছিলাম। ভেবেছিলাম ১০-১৫ দিন পর বিক্রি করব, তাই ফল কাটা হয়নি। কিন্তু গত দু’দিনের বৃষ্টিতে সব শেষ।

আরেক চাষি ছোমেদ আলী বলেন, চার লাখ টাকা ব্যয় করে তরমুজ চাষ করেছিলাম। কয়েক দিন পর ১০ লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারতাম। কিন্তু বিক্রি করার আগেই বৃষ্টিতে তরমুজ ক্ষেত তলিয়ে গেছে। তাই এ তরমুজ এখন বিক্রি করতে পারব কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে।

এ প্রসঙ্গে বরগুনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আবু সৈয়দ জোবায়দুল আলম বলেন, ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে যেসব কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের তালিকা তৈরি করে সহায়তা দেয়া হবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877